Tuesday, October 9, 2012

Attack on the Buddhist in Ramu ( Part 1 )


আজকে ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় দেখলাম রামুর ঘটনায় বাইরের ছেলেরা জডিত। বরং স্থানীয় মুসলমান ছেলেরা বৌদ্ধদের রক্ষা করেছে। ঐ বাইরের ছেলে গুলি অবশ্যই সরকারের একটা প্রচ্ছন্ন ছায়ায় রামুতে গিয়েছিল আর সেই জন্য কক্সবাজার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব হওয়া সত্ত্বেও ৫ ঘন্টা পর পুলিশ বিডিআর ঘটনাস্থলে গিয়েছিল যেন বাংলাদেশ কে একটা জঙ্গী রাষ্ট্র হিসাবে প্রমাণ করে বিদেশের শ্রম বাজার পুরাপুরি ভারতের হাতে তুলে দেয়া যায়। সত্যিকথা বলতে কি RAW যা চাচ্ছে তাই এখন বাংলাদেশে হচ্ছে। আর বাংলাদেশের ইসলামী দল গুলি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানদের সাতেও নাই পাঁচেও নাই।
বাংলাদেশের ঢাকার কাকরাইল মসজিদের পাশেই বাংলাদেশের খ্রিষ্টানদের প্রধান গীর্জা অবস্থিত যেইখানে আর্চবিশপ পর্যন্ত থাকেন। আর হাটহাজারী মাদ্রাসার সাথেই একদম লাগানো একটা বিরাট কালী মন্দির। সেইখানে প্রতিদিন উলু ধ্বনি উচ্চারিত হয়। কিন্তু কখনই হাটহাজারি মাদ্রাসার কেউ এই কালী মন্দিরে যেয়ে ঝামেলা করেনি। তো এই সব ঘটনা দ্বারা ভাল করেই বুঝা যায় যে আমরা মুসলমানরা কতটা বড় মনের অধিকারী।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমন করেছে সব সময় প্রভাবশালী লোকেরা। আর এই প্রভাবশালী লোকেরা আওয়ামী লীগ বিএনপি উভয় দলেই আছে। কখনোই কোন ইসলামী দলের নেতা কর্মী হিন্দুদের সাথে কোন ঝামেলায় যায় নাই। আর তাছাড়া বাংলাদেশের ইসলামী দল গুলির এখনো বলার মত ঐ রকম কোন সাংগঠনিক ভিত্তি হয় নি। এদের কাজ মূলত শহর ভিত্তিক। থানা উপজেলা গ্রামে রাজনীতি মানেই বিএনপি আওয়ামী লীগ। তাই গ্রাম এলাকায় কোন সাম্পদায়িক ঝামেলা হলে ইসলামী দলগুলিকে দোষ দেয়া কত টা যুক্তি সংগত আপনারাই বলেন???
বৌদ্ধমন্দিরে এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এই দেশ শুধু মুসলমানের নয়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান আদিবাসী সবার। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন ছিলো আমাদের। কিছু ঘৃণ্য শিক্ষিত-অশিক্ষিত রাজনীতিবিদ এবং তাদের কিছু ততোধিক ঘৃণ্য শিক্ষিত-অশিক্ষিত সমর্থকের লোভ ও মস্তিষ্কহীনতার কারণে বারবার এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশে সকল নাগরিকের সমান অধিকার চাই। সকল ধর্মের মর্যাদাপূর্ণ সহঅবস্থান চাই।

No comments:

Post a Comment