Thursday, October 11, 2012

Attack on the Buddhist in Ramu ( Part 2 )

বৌদ্ধপল্লী-বৌদ্ধমন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার জন্য দায়ী বিএনপি সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইমুম কমল

রামুর ঘটনা কোনো নিছক দুর্ঘটনা নয়, এই ঘটনা বহুদিন পূর্ব থেকেই রাজনৈতিক নেতারা লালন করে আসছে। আর সেই রাজনীত
ির নোংরা খেলার বলি হয়েছে নিরীহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এই ঘটনায় জ্বালানী দিয়েছেন দেশের দুইটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগ-এর স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। আসুন এবার আমরা দেখি কি ঘটেছিলো সেখানে, কারাইবা দায়ী এই ঘটনার জন্য? কেনোইবা নিরব ছিলো পুলিশ প্রশাসন?
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, এই ঘটনার জন্য দেশের দুইটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দুইজন নেতা দায়ী একজন বিরোধী দলের সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল আরেকজন আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইমুম কমল। নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে জানা যায়, বিএনপি সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল আর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইমুম কমল-এর ইন্দনে এই নাশকতা ঘটানো হয়েছে। নির্ভরযোগ্য ওই সূত্রটি আরও জানান কিভাবে ঘটে ওই লোম-হর্ষক ঘটনা।
এই পৈশাচিকতার পূর্বমুহূর্তে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবককে জিহাদের মর্মবাণী শুনিয়ে আসেন বিএনপির সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল, এরপর বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীরা বৌদ্ধপল্লী ও বৌদ্ধমন্দিরগুলোতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে করতে থাকে, সাথে সহযোগীতা করতে থাকে সাইমুম কমল-এর অনুসারীরা।
এদিকে কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আমাদের আপডেট নিউজ-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পুলিশের নিরব থাকার মূল রহস্য। কক্সবাজার পুলিশ প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, ‘যখন বৌদ্ধপল্লী ও মন্দিরগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ হচ্ছে সেই মুহূর্তে আমরা সেখানে ফোর্স নিয়ে যেতে চাইলে এসপি স্যার বলেন এটা ধর্মীয় ইস্যু, রাজনৈতিক নেতারা বুঝবেন, আমাদের মাথা ঘামানোর কোনো দরকার নেই, স্যার আরো বলেন, বিএনপি সাংসদ কাজল ও স্বেচ্ছাসেক লীগ নেতা কমল-এর সাথে তার কথা হইছে তাদের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে।’
এছাড়াও একাধিক সূত্রমতে জানা যায়, মূল ঘটনা ঘটায় কাজল-কমল বাহিনীর সদস্যরা, আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে চেষ্টা করি সাইমুম কমল-এর সাথে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন তিনি। আর একাধিকবার বিএনপি সাংসদ লুতফর রহমান কাজলের ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আর পুলিশ প্রশাসনের নিরবতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

No comments:

Post a Comment